আপনি পড়ছেন

আগামীকাল রোববার আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। তাই তিন বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৩ মে, শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ministry of primary and mass educationতিন বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

এছাড়া ৬ শিক্ষা বোর্ডের আগামী ১৪ ও ১৫ মে’র (রোববার ও সোমবার) এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৪ মে, রোববার অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজগুলোর সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূলের আরও কাছাকাছি এসেছে। তাই কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর এবং মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

১৩ মে, শনিবার সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখা ৮ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে ৮-১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এদিকে শনিবার সকালে ১১টায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আমেরিকার পূর্বাভাস মডেলের বরাতে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ, ৮৯ দশমিক ৪ ডিগ্রীতে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির  বাতাসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ২১২ কিলোমিটার, যা দমকা হওয়ার গতিবেগে ঘণ্টায় ২৫৯ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের চারপাশে সমুদ্রে ৪৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ সৃষ্টি হচ্ছে। এটি ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে সামনের দিকে এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের স্থলভাগে প্রথম যে স্থানটিতে আঘাত করতে পারে তা হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ।