ইসরায়েল বিরোধী বিল পাশের প্রশংসায় ফিলিস্তিন

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে মিশরের দেয়া খসড়া প্রস্তাবটি ২৩ ডিসেম্বর সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে। এই বিল পাসের ঘটনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ফিলিস্তিনের নেতারা। জানা গেছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি ওঠানো হলে আমেরিকা ভেটো না দিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হয়।

ফিলিস্তিন সরকারের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ বলেছেন, 'জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিল পাশের অর্থ হলো ইসরায়েলের নীতির বড় ধরনের বিপর্যয়।' মুসলমান অধ্যুষিত দেশটির কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ইসলামি আন্দোলনের নেতারা প্রস্তাব পাসের ব্যাপক প্রশংসা করেন। বিষয়টিকে তারা ইসরায়েলের আগ্রাসী নীতির পরাজয় বলে মনে করছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি বলেছেন, জাতিসংঘে ইসরায়েল বিরোধী প্রস্তাব পাস নি:সন্দেহে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের বিজয়।' এছাড়াও জাতিসংঘ নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর বলেন, 'ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অবৈধ আগ্রাসনের কথা গোটা বিশ্ব জানে। জাতিসংঘের এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখবে।'

হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহুম বিবৃতিতে বলেছেন, 'প্রস্তাবকে হামাস অবশ্যই স্বাগত জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা দেশটি নিপীড়িত জনগণের অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী যে কাজ করছেন হামাস সেটি সমর্থন করে। পাশাপাশি ইসরায়েল বিরোধী প্রতিরোধ সবসময় অব্যাহত রাখতে হবে।

এদিকে নিরাপত্তা পরিষদে এই বিলে ভোটদানে বিরত থাকলেও প্রস্তাবের সব বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেন, 'আমরা ভেটো দেইনি, কারণ সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র যে 'দুইদেশ নীতি'তে বিশ্বাস করে প্রস্তাবটি তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রস্তাবটি অবশেষে পাশ হওয়ায় ফিলিস্তিন সন্তোষ প্রকাশ করলেও শর্ত মানবে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, এই প্রস্তাবের কার্যক্রম বন্ধ করতে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের আশা করছেন।

১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে চায়। ইসরায়েল আরব যুদ্ধের পর থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। তারা পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে দাবী করলেও আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরণের কোন স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।