প্রতিযোগিতা নয়, পারফরম্যান্সে মনোযোগী হাসান

একটা সময় ছিল যখন স্পিন নির্ভরতা নিয়ে মাঠে নামত বাংলাদেশ। একাদশে পেসার থাকত সর্বোচ্চ দুজন। অতীতে একজন পেসার নিয়েও খেলতে দেখা গেছে লাল সবুজের দলকে। অবশ্য সময়ের পরিক্রমায় এখন বেশ পরিবর্তন এসেছে। স্পিনারদের পরিবর্তে এখন পেস বোলিংয়ের আধিক্য নিয়ে মাঠে নামছে টিম টাইগার্স।

সতীর্থদের সঙ্গে হাসান মাহমুদ

বাংলাদেশ দলে আছে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, খালেদ আহমেদদের মতো একঝাঁক দারুণ সব পেসার। বিকল্প হিসেবে জাতীয় দলের আশেপাশে আছে আরও বেশকিছু সম্ভাবনাময় পেসার।

এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় প্রতিযোগিতা তৈরি করেছে পেসারদের মধ্যে। যদিও এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নন হাসান মাহমুদ। এসব না ভেবে নিজের পারফরম্যান্সের দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে যাচ্ছেন লক্ষীপুরের এই তারকা বোলার।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসান বলেন, ‘দলে আমার একটা দায়িত্ব আছে। সেটা যদি অন্য কেউ করে থাকে তাহলে ম্যানেজমেন্টের কাছে দুইটা অপশন থাকবে। প্রতিযোগিতা তো আসলে এমনই। দিন শেষে পারফরম্যান্সই আসল বিষয়। আমি সব সময় সেদিকেই মনোযোগ দেই।’

ইনজুরির ওপর কারও হাত নেই বলে মনে করেন হাসান, ‘ইনজুরি হলো গাড়ি চালানোর মতো। কখন অ্যাক্সিডেন্ট হবে সেটা কেউ জানে না। কখন একটা গাড়ি এসে মেরে দেবে সেটা কে জানে। আপনার গাড়ি ভালো, আপনি ভালো চালাতে পারেন। এরপরও হুট করেই কিছু একটা হয়ে গেলে আপনার কিছু করার থাকবে না। আপনি বোলিং করছেন, ফিট আছেন, সব ঠিক আছে। হুট করেই ইনজুরি হয়ে গেল। তখন কি করার আছে বলুন। এটা কারও হাতে নেই।’