ভিসা নীতি নিয়ে ৭ প্রশ্নের উত্তর দিলো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা প্রাপ্ত হলে এর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও তার পরিবারকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। ২৪ মে, বুধবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস

ভিসা নীতি ঘোষণার পর এ সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় খোলাসা করেছে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস।

নতুন ভিসা নীতি কার বা কাদের জন্য প্রযোজ্য? উত্তরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে জড়িত বলে অনুমিত যে কোনো ব্যক্তির ভিসা সীমিত করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছেন- কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সরকারপন্থী ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।

নতুন নীতিমালার মাধ্যমে কি কারো ভিসার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে? উত্তরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই নীতির আওতায় এখনও কারো ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।

এই ভিসা নীতি কি সরকার বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে? উত্তরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, না, কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে বা যারা বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের জন্যই এই ভিসা নীতি।

যাদের ভিসা বাতিল হবে, তাদের কি বিষয়টি অবহিত করা হবে? উত্তরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, অবশ্যই করা হবে। যাদের ভিসা বাতিল করা হবে তাদের অবহিত করা একটি সাধারণ অনুশীলন।

উপরের আদেশ অনুসরণ করে যারা অপরাধ করে, তাদের জন্য ভিসা নীতি কীভাবে প্রযোজ্য হবে? উত্তরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে বা যারা বাধাগ্রস্ত বা দুর্বল করার চেষ্টা করবে, তাদের জন্যই এই ভিসা নীতি প্রযোজ্য।

গত ১৪ মে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কি এ ভিসা নীতির ঘোষণা এলো? উত্তরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, না, এই নীতি আমরা আরও আগে গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে ৩ মে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত চিন্তিত? উত্তরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সব জায়গায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেছে। এই নীতিটি সেই প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্য প্রণীত হয়েছে।