আর্লিং হাল্যান্ডও মানুষ

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট হারানো যেন ভুলেই গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গতরাতের আগে দলটি সবশেষ ম্যাচে ড্র করেছিল নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে। সেও প্রায় তিন মাস আগের কথা। ১৮ ফ্রেব্রুয়ারির সেই ড্রয়ের পর লিগে একপ্রকার অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠেছিল ম্যানসিটি। ফলস্বরূপ আর্সেনালকে হারিয়ে পেপ গার্দিওলার জিতেছে লিগ শিরোপা।

আর্লিং হাল্যান্ড

গতরাতে ব্রাইটনের বিপক্ষে সিটির জন্য ম্যাচটি ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। যদিও শক্তিশালী একাদশই মাঠে নামিয়েছিলেন গার্দিওলা। ব্রাইটনের শেষ মুহূর্তের গোলে জয়বঞ্চিত হয় ম্যানসিটি। তাতে আক্ষেপ থাকার কথা নয় সিটির। গার্দিওলাও ম্যাচ শেষে ব্রাইটনকে স্বাগত জানিয়েছেন ১২১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপা লিগে জায়গা করে নেওয়ার জন্য।

ব্রাইটনের বিপক্ষে ড্রয়ে কিছুটা দায় দেওয়া যায় ফিল ফোডেন ও আর্লিং হাল্যান্ডকে। দুজনেই দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন। সমর্থকদের বেশি চোখে লেগেছে হাল্যান্ডের ভুল। এর আগেও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে একই ভুল করেছিলেন সিটি স্ট্রাইকার। তিনবার সুযোগ পেয়েও সেদিন থিবো কোর্তয়াকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি।

গতকালকের ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য গোলের মধ্যেই ছিলেন হাল্যান্ড। মৌসুমে ৩৫ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত ৩৬টি গোল করেছেন, গোলে সহায়তা করেছেন ৮টিতে। নিয়মিত গোল করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন হাল্যান্ড। এখন কোনো ম্যাচে গোল না পেলে সেটাই যেন বড় কিছু হয়ে চোখে বিঁধে।

প্রতি ম্যাচে হাল্যান্ড গোল করবেন, হ্যাটট্রিক করবেন কিংবা রেকর্ড গড়বেন, এসবই নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছিল ভক্ত-সমর্থকদের কাছে। কোনো ম্যাচে তার গোল না পাওয়াকে এখন মানতে নারাজ তার অনুসারীরা। কিন্তু দিনশেষে তিনিও মানুষ। তিনিও আর সবার মতোই রক্তে মাংসে গড়া। তিনিও ভুল করেন।