ইরানের বিরুদ্ধে ৫০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ইউক্রেন

এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। সেই অভিযানে অস্ত্র দিয়ে রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানের ওপর ৫০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট। খবর এএফপি।

ইউক্রেনের পার্লামেন্ট

গত সোমবার দেশটির পার্লামেন্ট ভারখোভনা রাদা এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর একদিন আগে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চলায়। এ হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে অভিযোগ করেছে কিয়েভ।

নিষেধাজ্ঞায় ইরানের সামরিক ও দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য (সামরিক-বেসামরিক) বেশকিছু পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইরানের সঙ্গে সবধরনের বাণিজ্য, আকাশপথ ও স্থলপথে যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ইরানের নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গের অর্থনৈতিক সুবিধা স্থগিত রাখার বিষয়টিও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইরানের শাহেদ ড্রোন

ইউক্রেনের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইরানকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করতে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার পর বিলটিতে এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে। জেলেনস্কি নিজেই এ বিল জমা দেওয়ার কারণে বিলটিতে স্বাক্ষর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক ইরান সরকারকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বলেন, ইরানের তৈরি ডজন শাহেদ ড্রোন দিয়ে কিয়েভে হামলা চালানো হয়েছে। টুইটারে তিনি লেখেন, এই যুদ্ধে মস্কোর অন্যতম প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে তেহরান। তারা জেনেশুনেই ইউক্রেনের বেসামরিক শহরগুলোতে হামলার জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে।

এদিকে ইউক্রেনের এসব অভিযাগের জবাবে ইরান জানিয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য জেলেনস্কি যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এই ধরনের অভিযোগ আসলে সেটিরই একটি অংশ।