সুইডেনে ন্যাটোবিরোধী বিক্ষোভ

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ন্যাটো এবং নতুন সন্ত্রাসবিরোধী একটি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে শত শত বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। ৪ জুন, রোববার এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাটোবিরোধী জোটের মুখপাত্র টমাস পেটারসন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তারা সুইডেনের কুর্দিদের পেছনে আছেন।

শত শত বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছিলেন

তিনি জানান, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে খুশি করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী নতুন এই আইনটি করা হয়েছে। এর ফলে অন্যায়ের শিকার কাউকে গ্রেপ্তার করে বিচার করা যাবে। আর এর মাধ্যমে সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে।  

১ জুন থেকে কার্যকর হওয়া সুইডেনের নতুন এই আইনে সন্ত্রাসী সংগঠনে অংশগ্রহণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তুরস্কের দাবি ছিল, সুইডেন যেন সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে শক্তিশালী করে। ফলে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সদস্যরা যেন দেশটিতে আশ্রয় গ্রহণ করতে না পারে। তুরস্ক পিকেকে কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

পিকেকের ঘনিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী রোববারের ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। বিক্ষোভকারীরা ‘ন্যাটোকে না’ এবং ‘সুইডেনে এরদোয়ানের আইন চলবে না’ বলে স্লোগান দেয়। আগে থেকেই পরিকল্পিত এই বিক্ষোভ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তুরস্ক। 

গত সপ্তাহে তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, 'পিকেকে সন্ত্রাসীরা সুইডেনে অবাধে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণভবে অগ্রহণযোগ্য। সুইডিশ কর্তৃপক্ষকে রোববারের বিক্ষোভ থেকে তাদের বিরত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।'  

যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মত পিকেকে সুইডেনেও একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে সংগঠনটির সমর্থকদের সাধারণত জনসমক্ষে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এদিকে সুইডেনের বিচারমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন, নতুন আইনটি বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। এরপর নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। কিন্তু পিকেকের মত সন্ত্রাসী দলের সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে তুরস্ক এতে আপত্তি জানায়। তুরস্কের দাবি মেনে নিয়ে ফিনল্যান্ড তাদের আইন সংশধান করে চলতি বছরের এপ্রিলে ন্যাটোতে যোগ দেয়। এখন সুইডেনও একই পথ অনুসরণ করছে।

সূত্র: এএফপি