ইসরায়েলের প্রবৃদ্ধিতে ক্ষতি দেখছে আইএমএফ

ইসরায়েলি সরকারের বিচারিক সংস্কার নিয়ে দেশটিতে মাসের পর মাস বিক্ষোভ চলছে। এতে দেশটিতে একপ্রকার অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দেশটির এই অবস্থায় জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে ক্ষতির আশঙ্কা করেছে। দ্য নিউ আরব।

ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে তেলআবিকে বিক্ষোভ

২০২২ সালে ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতার প্রশংসা করে গতকাল বৃহস্পতিবার আইএমএফ জানিয়েছে, বিতর্কিত বিচারিক সংস্কার নিয়ে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হওয়ায় তা প্রবৃদ্ধির ক্ষতি করতে পারে।

গত বছর ইসরায়েলের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৫ শতাংশ। আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড দেশটির অর্থনীতির বার্ষিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, মধ্যমেয়াদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার চিত্র দেখাচ্ছে এই বছর প্রবৃদ্ধির গতি কমবে।

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর ইসরায়েলের প্রবৃদ্ধি ২.৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছর দেশটিতে ছিল পাঁচ শতাংশ মূল্যস্ফীতি, যেটাকে উচ্চ স্তরের মূল্যস্ফীতি হিসেবে ধরা হচ্ছে। এরপর ডানপন্থী সরকারের বিতর্কিত আইনি সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কারণে অর্থখাতে মন্থরতা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া তেলআবিব এবং অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ায় অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আইএমএফ বলেছে, ইসরায়েল সরকারকে রাজনৈতিকভাবে সৃষ্ট সংকটের টেকসই সমাধান নিয়ে ভাবতে হবে। প্রস্তাবিত বিচারিক সংস্কারের ফলে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

গত বুধবার ইসরায়েলের দুই প্রধান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ ও বেনি গ্যান্টজ বলেন, তারা বিতর্কিত সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে চান না। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুক্তি, বিচার বিভাগের ক্ষমতার পরিবর্তন বা সংস্কার প্রয়োজন। সমালোচকরা এই সংস্কারকে ইসরায়েলি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে মনে করেন।

নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক চিন্তাবিদরাও নেতানিয়াহু সরকারের সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। প্রযুক্তি খাতের সিনিয়র ব্যক্তিত্ব, ইসরায়েলি অর্থনীতির প্রধানরাও মূলত প্রতিবাদ আন্দোলনে ভূমিকা পালন করছেন।