আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ: বাঁধ ধসের পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে

বিস্ফোরণের মাধ্যমে দক্ষিণ ইউক্রেনের নোভা কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের জন্য রাশিয়ানদের দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ১৬ জুন, শুক্রবার আইনি বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এই দাবি করেছেন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা এই দলটিকে তদন্তে সহায়তা করেছেন।

ইউক্রেনের নোভা কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের জন্য রাশিয়ানদের দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সংস্থা গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্সের বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) একটি দলের সঙ্গে ১০-১১ জুন পর্যন্ত খেরসন অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। 

গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্সের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ দল যেসব তথ্য এবং প্রমাণ পেয়েছেন তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাঁধের কাঠামোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পূর্বে স্থাপন করা বিস্ফোরকের কারণে এটি ধ্বংস হয়েছে।

গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্সের সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ সৈয়দ খান বলেছেন, ‘কাখোভকা বাঁধে আগে থেকেই রাশিয়ানরা বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল। আর এই বিস্ফোরকের কারণেই বাঁধ ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা এই বিষয়ে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি নিশ্চিত।' 

তিনি একটি সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘আমরা কেবল সিসমিক সেন্সর এবং শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের তথ্যের ওপরই নির্ভর করছি না। বরং বাঁধে হামলার ধরণ এবং অন্যান্য আক্রমণের উপর ভিত্তি করে যা পেয়েছি তাই নথিভুক্ত করেছি।' 

কাখোভকা বাঁধের ধ্বংসের ফলে আশেপাশের এলাকায় তার প্রভাব পড়ে। বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়। বেসামরিক জনগনকে লক্ষ্য করে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় বলে উল্লেখ করেছেন ইউসুফ সৈয়দ খান।

এদিকে মোবাইল জাস্টিস টিম তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়া ব্রিটিশ ব্যারিস্টার ক্যাট্রিওনা মারডক জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁধে আক্রমণ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে একটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

উল্লেখ্য, ৬ জুন দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসনে বিস্ফোরণের কারণে নোভা কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস হয়। ইউক্রেন এবং রাশিয়া এই বাঁধ ধ্বংসের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

সূত্র: রয়টার্স