ই-অরেঞ্জের আড়াই কোটি টাকার এফডিআর জব্দের নির্দেশ

বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবিনের আড়াই কোটি টাকার এফডিআর জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত ই-অরেঞ্জের ১০টি গাড়ির মালিকানা হস্তান্তরের সুযোগ না দিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) নির্দেশ দিয়েছেন।

ই-অরেঞ্জের সোনিয়া মেহজাবিনের নামে আড়াই কোটি টাকার এফডিআরের খোঁজ পাওয়া গেছে

ই-অরেঞ্জে গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দাখিলকৃত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। আদালত আগামী ২৩ জুলাই রিটের ওপর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য্য করেছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম লিটন।

ই-অরেঞ্জের ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ গত বছরের মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটে ই-অরেঞ্জের সোনিয়া মেহজাবিন, তার ভাই সোহেল রানা, ভাইয়ের স্ত্রী বিথি আক্তারসহ ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কার কোথায় ব্যক্তিগত সম্পদ আছে তা খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি গঠনের রুল চাওয়া হয়।

রিটকারীদের আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম লিটন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ জানিয়েছেন, বিএফআইইউ হাইকোর্টে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে দেখা গেছে, সোনিয়া মেহজাবিন আইএফডিসিতে আড়াই কোটি টাকা এফডিআর করেছেন। এদিকে হাইকোর্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ই-অরেঞ্জের নামে ১০টি গাড়ি কেনা হয়েছে।

আবদুল কাইয়ুম জানান, ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের টাকায় সোনিয়া এফডিআর করেছেন। গ্রাহকদের জমাকৃত টাকায় গাড়ি কেনা হয়েছে। সোনিয়ার ভাই, বনানী থানার বরখাস্তকৃত ইন্সপেক্টর শেখ সোহেল রানা ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। পরে সেখানকার আদালত থেকে জামিন পেয়ে তিনি পলাতক রয়েছেন।

সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী ও ই-অরেঞ্জের প্রধান নির্বাহী মাশুকুর রহমান ও তাদের আত্মীয় মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ বর্তমানে জেলে আছেন।