ভুল করে এ কী বললেন বাইডেন!

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জো বাইডেন। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আগামীতে তার প্রার্থিতায় বাধা হিসেবে বয়সকে উল্লেখ করলেও বাইডেন তা মানতে নারাজ। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তিনি লড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তার কথাবার্তায় বয়সের প্রভাব বেশ বুঝা যাচ্ছে। গতকাল যেমন বাইডেন বলছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরাক যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন। খবর রয়টার্স।

জো বাইডেন

শিকাগো সফরের উদ্দেশ্যে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাইডেন। এ সময় বাইডেনকে ওয়াগনারপ্রধানের বিদ্রোহের কারণে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইরত পুতিনের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।

জবাবে বাইডেন বলেন, পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা একেবারে সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে এটা ঠিক যে, পুতিন ‘ইরাকের যুদ্ধে’ হেরে যাচ্ছেন। তিনি ঘরে বসেই যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন এবং বিশ্বজুড়ে তিনি কিছুটা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। শুধু ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নই নয়, জাপানসহ বিশ্বের ৪০টি দেশের আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ

পুতিনের এই ইরাক যুদ্ধে হেরে যাওয়ার কথাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউজ একটি ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, শ্বাস সমস্যার কারণে বাইডেন সিপিএপি মেশিন ব্যবহার করে থাকেন। আগের রাতে বাইডেন এ মেশিন ব্যবহার করেছিলেন। সে কারণেই এমনটা (স্লিপ আপ) হতে পারে।

এই মন্তব্যকে ঘিরে বাইডেনকে ব্যাঙ্গ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি মন্তব্য করেন, বাইডেন কি আসলেই ইরাক বোঝাতে চেয়েছিলেন? নাকি ভিয়েতনামকেই বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি।

এর আগে তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে ভারতের কথা বলতে গিয়ে বলে ফেলেন চীনের কথা। তিনি বলেছিলেন, আপনারা নিশ্চয় আমাদের প্রিয় বন্ধু একটি ছোট্ট দেশ ‘চীনের’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চেনেন। ক্ষমা করবেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চেনেন।

গত বছরের নভেম্বরে ফ্লোরিডায় মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কারণ রাশিয়ার সঙ্গে ইরাকের যুদ্ধ। সে সময়ও অবশ্য নিজের ভুল শুধরে নিয়েছিলেন।

স্মৃতিশক্তির ক্ষয় নিয়ে আগেও বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন জো বাইডেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ নাগরিক মনে করেন বাইডেনের বয়স হয়েছে, তিনি সরকার চালানোর অনুপযুক্ত। তবে বাইডেনের চিকিৎসকরা জানান, তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ।