হাজার ছুঁলো কাঁচা মরিচের দাম!

ঈদের সময় কাঁচা মরিচের দাম ৭০০-৮০০ টাকায় ওঠার পর পাইকার-বিক্রেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, ঈদের পর দাম কমে আসবে। তবে তাদের সেই ধারণা ব্যর্থ করে দিয়ে কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকায় পৌঁছেছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, তারা জীবনে কাঁচামরিচের এত দাম আর কখনো দেখেননি।

কাঁচা মরিচ

শনিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় এক হাজার টাকা দরে। হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল আটটার দিকে হাট শুরু হয়। সে সময় চাষিরা পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি করছিল ৭০০ টাকা। পরে পাইকারিতেই দাম বাড়তে থাকে মরিচের।

পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মরিচের ফলন অনেক কম হয়েছে। সে কারণে ঈদের আগে থেকেই কাঁচামরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। কাঁচামরিচের তীব্র সঙ্কটের কারণে এখন তা আরও বাড়ছে।

পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ, ফাইল ছবি

পাইকারিতে ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন এক হাজার টাকায়। তারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তারাও বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছেন।

শৈলকুপার কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, শৈলকুপায় বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁচামরিচ আসে। কিন্তু এবার সেখান থেকে মরিচ আসছে না। এ কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে।

সেখানকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইউনুস আলী বলেন, প্রতিদিন তার দোকান থেকে ২-৩ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি হয়। কিন্তু শনিবারে ১০ কেজিও মরিচ কিনতে পারেননি তিনি। যেগুলো পেয়েছেন, এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

স্থানীয় গোবিন্দপুর গ্রামের চাষি আদালাত হোসেন বলেন, এবার ১০ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। কিন্তু খরার কারণে ফুল ঝরে যাওয়ায় মরিচ কম ধরছে। শনিবার মাত্র ২ কেজি মরিচ হাটে এনেছেন। ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

শৈলকূপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের মরিচ চাষী বকুল বলেন, বৃষ্টির অভাবে গাছ শুকিয়ে মরে গেছে। এ কারণে খেতে মরিচ নেই। এখন নতুন করে গাছে মরিচ ধরছে। তাই তাড়াতাড়িই বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে।

এদিকে কাঁচামরিচের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে কাঁচমরিচের পরিবর্তে বাজার থেকে শুকনা মরিচ কেনার দিকে ঝুঁকছেন।