ক্রিমিয়ার সেই সেতুতে বিস্ফোরণ; নিহত দুই, যান চলাচল বন্ধ

অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম সড়ক ও রেল সেতুতে রহস্যজনক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্স।

ক্রিমিয়া সেতু

রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বেলগোরোড অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাচেস্ল্যাভ গ্ল্যাডকভ বলেছেন, এ ঘটনায় এক দম্পতি নিহত হয়েছে এবং তাদের মেয়ে আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু না জানালেও রাশিয়া-নিযুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, জরুরি পরিস্থিতির কারণে সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুতে বিস্ফোরণের খবর দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপের বৃহত্তম এই সেতুটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ক্রিমিয়ায় রাশিয়া-নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ জানিয়েছেন, সেতুটির ১৪৫ নাম্বার পিলারে বিশেষ কিছু ঘটেছে। ক্রাসনোদর অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন কনট্রাটিয়েভ বলেছেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেতুর উভয় দিকেই অপারেশনাল সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরেও ক্রিমিয়া সেতুতে দুর্ঘটনা ঘটে

ইউক্রেনভিত্তিক বার্তা সংস্থা আরবিসি-ইউক্রেন বলছে, এই সেতুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা গোষ্ঠী ওয়াগনারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাশিয়া গ্রে জোন চ্যানেল নামের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুতে সোমবার ভোর ৩টা চার মিনিট ও ২০ মিনিটে দু’টি হামলার শব্দ শোনা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। এরপর ১২ মাইল (১৯ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই সড়ক ও রেল সেতু তৈরি করে রাশিয়া। ২০১৮ সালে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। চলমান লড়াইয়ে রুশ সেনাদের কাছে অস্ত্র ও সামরিক রসদ পাঠানোর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুটে পরিণত হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরেও এক বিস্ফোরণে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রথমে স্বীকার না করলে পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন এই হামলার দায় স্বীকার করে। তবে এবারের ঘটনাটি দুর্ঘটনা, না নাশকতা তা এখনো জানা যায়নি।