শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানের ৭ বছরের কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্তের অভিযোগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ রায় দেন বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির সাংস্কৃতিক অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন ও তার ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূইয়াকে পৃথক পৃথকভাবে দণ্ডবিধির ৩৬৫/১২০(খ)-এর অধীনে পাঁচ বছর এবং ১২৪/১২০(খ)-এর অধীনে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, সব আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যথায়, তাদের আরও দুই মাস কারাগারে থাকতে হবে। আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর হবে।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্তের অভিযোগে সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর মামলার ১৫টি সাক্ষ্যের মধ্যে দশম সাক্ষ্য হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাক্ষ্যে জয় বলেছেন, তাকে হত্যার চক্রান্তে বিএনপির শীর্ষ নেতারা জড়িত ছিলেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সেখানে এফবিআই এজেন্ট রবার্ট ল্যাকটিটসহ কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যান্য নেতা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে জাসাসের অফিসে একত্রিত হয়েছিলেন। সেখানে তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

সেই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান নিজেই ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাসাসের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং তার ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূইয়াকে অভিযুক্ত করা হয়।

পরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকেও আসামি করা হয়।