নাগিন ডার্বি ছাপিয়ে নতুন শুরুর অপেক্ষা

নিদাহাস ট্রফি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছক্কা হাঁকানো, টিম বাংলাদেশের নাগিন ডান্স। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ম্যাচ এলেই ভেসে ওঠে সেই অসাধারণ মুহূর্ত। আবারও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এবার যেমন প্রেক্ষাপট ভিন্ন তেমনি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

সবশেষ এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। আসরে আন্ডারডগ তকমা নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। এবার ফরম্যাটে এসেছে পরিবর্তন, তবে লঙ্কানদের লক্ষ্য একই। অপরদিকে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে চ্যালেঞ্জ। দলের নিয়মিত দুই ওপেনারকে ছাড়াই মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের দল।

আগামীকাল বিকেল সাড়ে তিনটায় পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। সাম্প্রতিক ফর্ম ও শক্তির বিচারে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে ছেড়ে কথা বলবে না শ্রীলঙ্কা। নিজেদের সবশেষ ম্যাচটি ওয়ানডে ম্যাচে হারের মুখ দেখেনি দলটি। অপরদিকে নিজেদের সবশেষ ৫ ম্যাচে ২ হার বাংলাদেশের, সেটিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এবার দলের অন্যতম সেরা তিন মুখ তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও এবাদত হোসেনকে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।

পাল্লেকেলের উইকেট সাধারণত ব্যাটারদের জন্য সহায়ক। পেসারদের জন্য তেমন কিছু করার না থাকলেও স্পিনাররা সুবিধা পেয়ে থাকে সচারাচর। পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত হওয়া ৩৩টি ওয়ানডে ম্যাচের ১৪ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে আগে ব্যাটিং করা দল। রান তাড়ায় জয় ১৮ টি ম্যাচে। বাকি একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।

৩৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পূর্ণ এই ম্যাচের আকৃতি বড় হলেও গ্রাউন্ড বেশ ফাস্ট। টস জয়ী দল আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে আবহাওয়া ও নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবর্তন আসতে পারে সিদ্ধান্তে। এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৩৬৩ রান। ২০১৮ সালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড সংগ্রহ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড জিম্বাবুয়ের, ৭০/১০ প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।

চলতি এশিয়া কাপে দু'দলই খেলতে নামবে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ চার ক্রিকেটার, দুষমন্ত চামেরা, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশঙ্কা এবং ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গাকে হারিয়েছে দলটি। তবে দলে রয়েছে বেশকিছু তারকা ক্রিকেটার। স্পিন ডিপার্টমেন্টে মহেশ থিকসানা থাকলেও পেস বোলিং চিন্তার কারণ হতে পারে লঙ্কানদের। শঙ্কা রয়েছে করোনা আক্রান্ত কুশল পেরেরার খেলা নিয়েও।

অপরদিকে বাংলাদেশের মূল সমস্যা ওপেনিং। যেখানে দেখা যেতে পারে দুই তরুণ ব্যাটার নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিমকে। এরমধ্যে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন তামিম। পেস ডিপার্টমেন্টে তাসকিন আহমেদের সঙ্গী হাসান মাহমুদ। মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী দল। মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী তরুণ তাওহীদ হৃদয় ও অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। তিন নম্বরে যথারীতি নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিবের সঙ্গে স্পিন সামলাবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সবমিলিয়ে সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।

সম্ভাব্য একাদশ:

বাংলাদেশ- মোহাম্মদ নাইম, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম/মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা- দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দিমুথ করুনারত্নে, পাথুম নিসাঙ্কা, কুসল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথা আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দুশান হেমন্ত, বিনুরা ফার্নান্দো ও কাসুন রাজিথা।