পাকিস্তান-ভারতের ম্যাচেও ফাঁকা স্টেডিয়াম!

ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই অন্যরকম কিছু। উত্তেজনা থাকে তুঙ্গে। আইসিসি বিশ্বকাপে আগামী ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। সে ম্যাচের টিকিটের দাম ৫৭ লাখ রুপিতে পৌঁছেছে। অথচ শ্রীলঙ্কা চলমান এশিয়া কাপে দেখা গেল তার পুরো উল্টো চিত্র। বাংলাদেশি ১৭০ টাকায় টিকিট মিললেও গ্যালারির অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে হতাশ আয়োজকরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

ফাঁকা প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম

বিশ্বের যেখানেই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হোক না কেন, তাতে ম্যাচের উন্মাদনায় খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না। কিন্তু গতকাল রোববার শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লক্ষ্য করা গেল একেবারে ভিন্ন ছবি। গ্যালারির প্রচুর জায়গা খালি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার টিকিটই অবিক্রিত রয়ে গেছে। আর যেসব দর্শক মাঠে এসেছেন, তাদের মধ্যে বিদেশিদের সংখ্যাই বেশি। গত শনিবার স্বাগতিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচেও স্টেডিয়ামের এই দশা দেখা গেছে।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স থেকে এশিয়া কাপের খেলা কভার করছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ। তিনিই ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় পুরো স্টেডিয়ামই খালি পড়ে আছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে স্টেডিয়ামের এমন অবস্থা দেখে কষ্টই পেয়েছেন হাফিজ। মন্তব্য করেছেন, শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের কাছ থেকে তিনি কখনও এমন প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেননি।

ফাঁকা প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দুই ভারতীয় সমর্থক

বর্তমানে শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। যার প্রভাব পড়েছে নাগরিকদের ওপরও। এর ওপর বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু ম্যাচ বাতিল হয়েছে। ফলে শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখার উত্তেজনায় ভাটা পড়েছে। পরিস্থিতি আগেই বুঝতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কান বোর্ড। ফলে টিকিটের দাম এমনিতেই কম রাখা হয়েছে। সাধারণ টিকিটের দাম রাখা হয়েছে মাত্র ৫০০ শ্রীলঙ্কান রুপি। বাংলাদেশি টাকায় বদলে নিয়ে যা ১৭০-১৮০ টাকার মতো পড়ে। তাতেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

শ্রীলঙ্কা বোর্ড আশা করেছিল, প্রথমে দর্শক না থাকলেও টুর্নামেন্টের শেষ দিকে টিকিট বিক্রি ও দর্শক দুটোই বাড়বে। কিন্তু দর্শকরা আসলেই তাদের হতাশ করেছেন।