ম্যালেরিয়ার নতুন টিকা মিলবে সস্তায়

মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ার নতুন একটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বলা হচ্ছে, এই টিকাটি মিলবে সস্তায়, উৎপাদনও করা যাবে বিপুল পরিমাণে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি ম্যালেরিয়ার জন্য ডব্লিউএইচওর দ্বিতীয় অনুমোদিত টিকা। নতুন টিকাটির নাম আর২১। সস্তার এই টিকাটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর বিবিসি।

ম্যালেরিয়ার নতুন টিকার অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও

দেশে দেশে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম শত্রুরোগ ম্যালেরিয়া, বিশেষ করে বেশিরভাগ নবজাতক ও শিশুর মৃত্যু ঘটে এ রোগটিতে। জটিল পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট এই রোগটি মানুষের দেহে ছড়ায় রক্ত চোষা মশার কামড়ে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানান, সাধারণ ভাইরাসের তুলনায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানবদেহের অভ্যন্তরে গিয়ে ক্রমাগত ধরন পরিবর্তন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে বা লুকিয়ে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা প্রায় এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে অবশেষে রোগটিকে ঠেকাতে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন করতে পেরেছে।

বছর দুয়েক আগে ম্যালেরিয়ার প্রথম টিকা আবিষ্কার হয়। সেটির নাম আরটিএস,এস। টিকাটি উদ্ভাবন করে জিএসকে। এরপর ম্যালেরিয়ার দ্বিতীয় টিকা আবিষ্কার হলো। ডব্লিউএইচও এই টিকাটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বলেছে, টিকাটি সস্তা।

জানা গেছে, নতুন টিকার প্রতিটি ডোজ ২-৪ ডলারে কেনা যাবে। একজন ব্যক্তিকে নিতে হবে চার ডোজ। আগামী বছরের মাঝামাঝি টিকাটি বাজারে পাওয়া যাবে।

ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আদহানম গেব্রিয়াসূস বলেন, আজকের দিনটি অনেক আনন্দের। কেননা আমরা স্বপ্ন দেখতাম ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ও নিরাপদ টিকা আমাদের হাতে আসবে। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের এখন দুটি টিকা আছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা দুটির কার্যকারিতা একইরকম এবং একটি আরেকটির চেয়ে বেশি ভালো, তা বলা যাবে না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি উদ্ভাবিত আর২১ টিকাটি সস্তার এবং তা বিপুল পরিমাণে উৎপাদন সম্ভব। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এরইমধ্যে টিকাটি তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা প্রতি বছর ১০ কোটি ডোজ টিকা তৈরি করবে।

বিশ্বে ২০২১ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় ২৪ কোটি ৭০ লাখ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার জনের। মারা যাওয়াদের বেশিরভাগের বয়স ৫ বছরের কম।