চীনে পুতিন, পশ্চিমাবিরোধী শক্তি বৃদ্ধিই লক্ষ্য

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দশম বার্ষিকী উপলক্ষে ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বেইজিং পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে পুতিন বেইজিং পৌঁছেন। ফোরামের সম্মেলনের বাইরে বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে বেইজিং পৌঁছেছেন পুতিন

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরামের সদস্য ১৩০টি দেশ। রাশিয়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরামের সদস্য না হলেও প্রেসিডেন্ট জিনপিং নিজেই তার ‘প্রিয় বন্ধু’ পুতিনকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

শির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এবার তৃতীয়বারের মতো ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বেইজিং গেলেন পুতিন। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৯ সালের সম্মেলনেও যোগ দিয়েছেন পুতিন।

চীনের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী এবং সম্মেলনে আগত সমমনা দেশগুলোকে নিয়ে পশ্চিমাবিরোধী একটি শক্তি বাড়ানোই পুতিনের এ সফরের লক্ষ্য।

বুধবার সম্মেলন শুরুর পর তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরামে ১৩০টি দেশের নেতারা শি জিনপিং স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

তবে সম্মেলনের এক ফাঁকে বুধবার জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন পুতিন। তার আগে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মঙ্গোলিয়া ও লাওসসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করবেন পুতিন।

শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিনের সর্বশেষ বৈঠক হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। তখন ক্রেমলিন সফরে যান চীনের প্রেসিডেন্ট।

ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর জিনপিং বলেন, এখন থেকেই পরিবর্তন ঘটবে, যা আমরা বিগত ১০০ বছরে দেখিনি এবং আমরা পরিবর্তনগুলো একসঙ্গেই ঘটাবো।

এদিকে পুতিন সর্বশেষ ছীন সফর করেছিলেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিকের সময়। সেসময় দুই নেতা ৫ হাজার শব্দের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন যাতে বলা হয়েছিল, চীন ও রাশিয়ার বন্ধুত্বে কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই নেতার বৈঠকে সম্ভবত চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ কিছুটা ছায়া ফেলতে পারে।