বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি সেতু উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৯ জেলায় একযোগে ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি সেতু উদ্বোধনের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব অবকাঠামো উদ্বোধন করেন। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর তিনি ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেছিলেন।

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

১৫০টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ১৪টি ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৬৮৯ মিটার। সেতুগুলোর নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। 

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১ হাজার ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যর কেওয়াটখালী সেতু ও ১ হাজার ৪৭১ মিটার দৈর্ঘ্যর রহমতপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এছাড়া তিনি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের জন্য নবনির্মিত ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিএ অটোমেটেড মোটর ভেহিকেল ফিটনেস টেস্ট সেন্টার, বিআরটিসি বাস ডিপো ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী যেসব এলাকার সেতু উদ্বোধন করেছেন

• ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০টি সেতু
• ঢাকা বিভাগে ৩২টি সেতু
• চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭টি সেতু
• রাজশাহী বিভাগে ২২টি সেতু
• খুলনা বিভাগে ১২টি সেতু
• বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ৮টি করে সেতু এবং
• সিলেট বিভাগে একটি সেতু

কেওয়াটখালী সেতুর বিস্তারিত

ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১ হাজার ১০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও নান্দাইল উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। সেতুটি নির্মাণে ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রহমতপুর সেতুর বিস্তারিত

ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১ হাজার ৪৭১ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। সেতুটি নির্মাণে ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।