এরদোয়ান: গাজায় যুদ্ধবিরতি পুরো অঞ্চলকে অগ্নিগর্ভ হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে মানবিক যুদ্ধবিরতি অর্জন করা গেলে সেটি এই পুরো অঞ্চলকে অগ্নিগর্ভ হওয়ার থেকে রক্ষা করতে পারে। খবর আনাদোলু।

ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে এরদোয়ান

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলে হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এরদোয়ান বলেন, বারবার ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের আক্রমণকে একটি সূচনা পয়েন্ট হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে। কিন্তু এর পরের সময়টা মোটেও আলোচনায় আনা হচ্ছে না। হামাসের অস্ত্র ও শক্তিকে কি ইসরায়েলের অস্ত্রাগার ও শক্তির সঙ্গে তুলনা করা যায়? এমনকি ফিলিস্তিনকে ন্যূনতম যে সমর্থন দেওয়া উচিত তা-ও দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে এরদোয়ানবলেন, তেল আবিবের কাছে কি বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র আছে? এর উত্তর হচ্ছে- হ্যাঁ। কিন্তু আপনি তাদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা তা স্বীকার করবে না। কারণ তারা মিথ্যা বলায় খুবই পারদর্শী।

বর্তমান বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অবস্থানে আক্ষেপ প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধকে ঘৃণার মনস্তত্ত্ব ব্যবহার করে বিচার করা উচিত নয়। আমাদের হাত, বাহু ও জিহ্বা এভাবে বাঁধা থাকলে আমরা ইতিহাসের সামনে এর কোনো জবাব দিতে পারবো না।

গাজায় উপাসনালয়, গির্জা এবং হাসপাতালগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বলে মনে করিয়ে দিয়ে এরদোয়ান বলেন, তাওরাত তো হাসপাতালে বোমা হামলা এবং শিশুদের হত্যার অনুমতি দেয় না। এটা মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণারও পরিপন্থী।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সংঘাতের শুরু থেকেই বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে হামলাকে তুরস্ক সমর্থন করেনি। আর বর্তমান অবস্থায় আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার হল একটি যুদ্ধবিরতি অর্জন করা এবং মানবিক সাহায্যের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করা।

আর চলমান সংঘাতের সমাধানের ব্যাপারে তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এখন অনিবার্য। আর এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি রক্ষায় সবারই অবদান রাখা উচিত।