যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম নীতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, চিন্তার কিছু নেই

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম নীতি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। নীতিতে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ এই নীতির লক্ষ্য হতে পারে।

এ কে আব্দুল মোমেন

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত তাদের দেশের সরকারকে পাত্তা দেয় না। সে কারণে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম নীতির কোনো প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মনে করেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন সম্প্রতি এখানকার সরকারকে সতর্ক করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নতুন গৃহীত শ্রম অধিকার নীতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে এবং বাংলাদেশ তার অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের বেসরকারি খাতের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। তারা ভালো মানের পণ্য সময়মতো পায় বলেই যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে। তাই তারা শ্রমিকদের অধিকারের কথা বিবেচনা করবে।

তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে মোমেন আরও বলেন, মার্কিন বেসরকারি খাত পণ্য ক্রয় (আমদানি) করে এবং তারা প্রায়শই সরকারের প্রতি কোন মনোযোগ দেয় না। সস্তায় পণ্য পাওয়ায় তারা (এখান থেকে) ক্রয় করে। এখানকার তৈরি পোশাক শিল্প বেসরকারি এবং (মার্কিন) ক্রেতারাও।

চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি শুনেছি যে চিঠিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সম্বোধন করা হয়েছে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ করছে।"

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য গোপন এ চিঠি প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের নিন্দা করেছেন এবং ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমাদের সমস্যা হলো দেশের প্রতি ভক্তির অভাব আছে। এ জন্য অনেক গোপন নথি প্রকাশ করে দেয় আমাদের সম্মানিত মিডিয়া। এটা দুঃখজনক। এটা অন্য দেশে হয় না।

২০ নভেম্বর তারিখে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন তার চিঠিতে বলেছে, "যদিও 'স্মারকলিপি' সমস্ত দেশের জন্য প্রযোজ্য একটি বৈশ্বিক নীতি বলে মনে হয়, তবে এটি বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে বাংলাদেশ এর লক্ষ্য হতে পারে।"

চিঠিতে আরও উল্লেখ রয়েছে যে নীতিটি বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্রম সমস্যার অজুহাতে নীতিতে বর্ণিত যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। যা বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রভাব ফেলতে পারে।