আ. লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমেরটি বৈধ

ঋণ খেলাপি হওয়ায় কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। এদিকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার-১ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে আট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে এবং পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য ও কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম তার ছেলেসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে তাদের উভয়েরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দিন আরমান, শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াস, শাহনেওয়াজ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হোসনে আরা, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম। , বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি জাফর আলম এবং জাফর আলমের ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, দুই ব্যাংকে ঋণ খেলাপির কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দিন আরমান ও শাহনেওয়াজ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় কারণ তারা ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকা সংযুক্ত না করায়।

জবাবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২৩ নভেম্বর আদালত আমাকে খেলাপিদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাই আমি খেলাপি নই। তবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে খেলাপির অবস্থা উল্লেখ করে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এটি অন্যায্য, এবং আমি আপিল করার পরিকল্পনা করছি।’