নভেম্বরে একমাসেই সড়কে গেছে ৪৬৭ প্রাণ

দেশে গত নভেম্বরে এক মাসেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত এবং ৬৭২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৩ জন নারী ও শিশু ৬৬ জন। মোট ৫৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন দেয় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্যকে সংযোজন করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, নভেম্বরে সংঘটিত ৫৪১টি দুর্ঘটনার মধ্যে ২০৭টি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এতে নিহত হয়েছেন ১৮১ জন। মোট দুর্ঘটনার হার হিসাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৮.২৬ শতাংশ।

সংগঠনটি আরও জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৭ জনের মধ্যে ১০৬ জন পথচারী, যানবাহনের ড্রাইভার ও হেল্পার ৬৮ জন। এছাড়া দেশে নভেম্বর মাসে ৫ টি নৌদুর্ঘটনা ঘটেছে, যাতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২২টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন।

নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। খাগড়াছড়ি জেলায় ঘটেছে সবচেয়ে কম। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৬টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩১ জন। সিলেট বিভাগে ২১টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ৩৮ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়েছে। আর খাগড়াছড়িতে দুইটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

সংগঠনটির মতে, দিনে দিনে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। গত অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৫৮টি, যাতে ৪২১ জন নিহত হন। সেই হিসেবে নভেম্বরে দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৮.১২ শতাংশ।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সংগঠনটি জানায়, যানবাহনের বেপরোয়া গতি, বিশেষ করে চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অদক্ষতা, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না মানা এবং সড়কে দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাই দুর্ঘটনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।