প্রচারণাকালে প্রার্থীর কাছে 'পাওনা টাকা' চেয়ে মার খেলেন ভোটার

পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ভোটারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজের (ঈগল প্রতীকের) বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে শনিবার থানায় অভিযোগ করেন আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির বিহিগ্রামের রফিকুল ইসলাম আনজু।

রফিকুল ইসলাম আনজুর ছেলে আরিফুল ইসলাম আলিফ

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিহিগ্রাম স্কুল এলাকায় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ফেরদৌস স্বাধীন। এ সময় তার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে রফিকুল ইসলাম আনজুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজের সমর্থকরা। রফিকুল ইসলাম আনজুকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তার ছেলে আরিফুল ইসলাম আলিফকেও লাঠিসোটা দিয়ে পেটায় ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজের সমর্থকরা। পরে আহত অবস্থায় আলিফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

রফিকুল ইসলাম আনজু বলেন, ৮-১০ বছর আগে আমার মেয়ের চাকরির জন্য ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজকে দুই লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার মেয়েকে চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা চাইলে টালবাহানা শুরু করেন। শুক্রবার তিনি এলাকায় এসেছেন শুনে তার কাছে টাকা চাইতে যাই। কিন্ত তিনি আমাদের মারধর করেন।

তবে ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা। রফিকুল আমাকে চাকরির জন্য কোনো টাকা দেননি। ভোটের মাঠে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তারা নির্বাচনী প্রচারণাকালে আমাদের বাধা দিয়েছে। আমার এক সমর্থককে মারধর করেছে, ছয়টি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলেছে। আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।