ইসরায়েলকে ২৩০টি বিমান, ২০টি জাহাজবোঝাই অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র!

ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় হাজার হাজার টন গোলা ফেলে পুরো এলাকাটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ক্ষুদ্র এলাকায় এ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতার পেছনে বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আড়াই মাসের এ যুদ্ধে তারা ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দিয়েছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। খবর আনাদোলু।

ইসরায়েলে মার্কিন সহায়তা

ইসরায়েলের ইয়েদিওথ আহরনোথ সংবাদপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, ৭ অক্টোবর গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২৩০টি কার্গো প্লেন এবং ২০টি জাহাজে করে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলে পাঠিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি শেল, সাঁজোয়া যান এবং সৈন্যদের জন্য মৌলিক যুদ্ধ সরঞ্জাম।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় বর্তমান যুদ্ধের ব্যয় সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, এ যুদ্ধে এরই মধ্যে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন শেকেল বা ১৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল নিজেদের গোলাবারুদই ব্যবহার করছিল। তবে গাজার পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গেও লড়াই করতে গিয়ে দেশটির গুদামগুলো প্রায় খালি হয়ে গিয়েছিল। মার্কিন সহায়তার কারণে গুদামগুলো আবারও ভরপুর হয়ে ওঠেছে।

গাজায় হামলা

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। নভেম্বরের শেষ দিকে এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি ছাড়া পুরো সময়টাতেই নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জাসহ কোনো কিছুই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। এসব হামলায় গাজায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক। প্রায় পুরো গাজার ভবনগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে গেলেও পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজার বেসামরিক হত্যা ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার আহ্বান জানায়। তবে ইসরায়েল কখনোই সেই আহ্বান ভ্রূক্ষেপ করেনি।