'বৃহস্পতিবারের হরতাল বাংলাদেশ রক্ষার হরতাল'

সুন্দরবনের নিকটে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র না করার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে অর্ধবেলা হরতাল পালন করবে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। আর এই হরতালকে ‘বাংলাদেশ রক্ষা’র হরতাল হিসেবে মন্তব্য করেছেন কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।

তিনি বলেন, ‘অন্য হরতাল ধ্বংসের হরতাল, ক্ষমতা দখলের সংকীর্ণ লড়াইয়ের হরতাল, জ্বালাও-পোড়াওয়ের হরতাল। কিন্তু আমাদের হরতাল জাতীয় সম্পদ ও বাংলাদেশকে রক্ষার হরতাল।’

রামপালে বিদুৎ কেন্দ্র না করার দাবিতে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। আর এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।

ফলে কালকের হরতাল বিষয়ে বিভিন্ন কথা ওঠেছে। এই হরতাল রামপালের জন্য উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সেখানে (হরতালে) যদি কেউ অন্তর্ঘাত চালায়, কেউ অন্তর্ঘাত করতে চায় কিংবা সহিংসতা চালায়, তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’

কালকের হরতাল সফল করতে সকলকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বানও জানান তিনি, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বলব সেদিনের ক্লাসরুম যেন রাস্তায় হয়, সেদিন শিক্ষাদান হবে সুন্দরবন নিয়ে। যারা গান করেন, কবিতা লেখেন, যারা শিল্পী-লেখক-বুদ্ধিজীবী, তাদের সৃজনশীলতার প্রমাণ ও প্রকাশ ঘটবে রাস্তায়। শ্রমজীবী মানুষ যারা শ্রম ও মেহনত বিক্রি করেও এদেশে টিকে থাকতে পারেন না, তারা সেদিন কাজ থেকে কয়েক ঘণ্টা বিরত থেকে নিজেদের শক্তি বাড়াবেন।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেছেন, বুধবারের মধ্যে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র স্থাপন বন্ধ করে দেওয়া হলে হরতাল প্রত্যাহার করে নিবেন তারা।