ইসরায়েল-হামাস জিম্মি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত হতে পারে রমজানে!

বন্দি বিনিময় নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে আলোচনা চলছে, আগামী রমজান মাসে তা বাস্তবায়িত হতে পারে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যম এ দাবি করেছে। খবর আনাদোলু।

জিম্মিদের মুক্তি দিচ্ছে হামাস, ফাইল ছবি

সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি আদর্শ সময় হতে পারে মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান, যা আগামী ১০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্মি ইস্যু বাস্তবায়নে এই মুহূর্তে যেসব বিষয় বর্তমানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার অনেকগুলো এ ইস্যুর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছিল, বাইডেন প্রশাসন এ মুহূর্তে একটি বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি চাইছে, যার মধ্যে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ বিষয়ে এখন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে যারা রয়েছে, তারা আশা করছে, রমজান মাস শুরুর আগেই একটি বন্দি বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে, যা বাস্তবায়িত হতে পারে রমজান মাসে।

জিম্মিমুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ

এদিকে অজ্ঞাত এক সূত্রে বরাত দিয়ে হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরায়েলও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছতে কিছুটা সময় নিতে চাইছে, যাতে তারা এর মধ্যে খান ইউনিসে সামরিক অভিযান শেষ করতে পারে এবং রাফাহতেও তাদের অভিযানের একটি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষ আলোচনার মূল বিষয়গুলোতে এখনও অনেক দূরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময়কাল, মুক্তি দেওয়া বন্দিদের সংখ্যার মতো বিষয়গুলো রয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে নেতানিয়াহু চুক্তির বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেন, সে ব্যাপারে ভবিষদ্বাণী করা যাচ্ছে না।

প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে গাজা ও এর আশপাশে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২৪ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় করে। কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হয়েছিল।