ইমরান: কারচুপির নির্বাচন পাকিস্তানকে বিশ্বে হাসির পাত্র করে তুলেছে

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে 'মাদার অব অল রিগিং' বা সকল কারচুপির মা বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এ নির্বাচন পুরো বিশ্বে পাকিস্তানকে হাসির পাত্র করে তুলেছে।

ইমরান খান

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইমরান খানের বোন আলেমা খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বক্তব্য তুলে ধরেন।

বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খান এখন আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। মঙ্গলবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তার বোন আলেমা খান। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ইমরান খানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর জনগণের ম্যান্ডেট চুরি হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান এখন অন্যদের হাসির পাত্র হয়ে ওঠেছে। তিনি এসবের অবসান চান।

আলেমা খান ইমরান খানের বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন। নির্বাচনকে মাদার অব অল রিগিং বলে আখ্যায়িত করে ইমরান খান বলেছেন, এ নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এমনকি নির্বাচনের পরেও কারচুপির ঘটনা ঘটেছে।

আলেমা খান

আলেমা খান বলেন, ইমরান খান গত নির্বাচনে ‘মাদার অব অল ইউ-টার্ন’ ও ‘মাদার অব অল সিলেকশন’ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, প্রশাসন ভোটের পরিবর্তে বুটকে সম্মান দিচ্ছে। কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও নওয়াজ শরিফকে দায়মুক্তি দেওয়া এবং ইমরানের মাথায় একের পর এক মামলার বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার কারণে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির সাবেক নির্বাচন কমিশনারের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু একজন কমিশনার নন, আরও অনেকের কাছে কারচুপির যথেষ্ট প্রমাণ আছে, কিন্তু তাদের নীরব করে রাখা হয়েছে। কাউকে ক্ষমতায় আনতে এসব অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে দেশের খ্যাতি রক্ষা করতে জনগণের দেওয়া রায়কে সম্মান করতে হবে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া এবং অন্য বৃহৎ দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনে অস্বীকৃতির কারণে দলটির পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে কয়েক দফা ব্যর্থতার পর মঙ্গলবারের বৈঠকে সরকার গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সমঝোতায় সম্মত হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। নতুন সরকারে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফ এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসিফ আলি জারদারিকে দেখা যাবে।