ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী!

ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা বা পিএলও’র প্রধান ইয়াসির আরাফাতের গাজা উপত্যকার বাড়িটি ধ্বংস করে দিয়েছে। খবর আশরাকুল আওসাত।

ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি

ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আতিফ আবু সাইফ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানান, অব্যাহত আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি সেনারা পিএলও’র প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসির আরাফাতের বাড়িটি ধ্বংস করে ফেলেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা এবং সংগ্রামের প্রতীক মুছে ফেলার লক্ষ্যেই তারা বাড়িটি ধ্বংস করেছে।

আতিফ আবু সাইফ জানান, ইয়াসির আরাফাত ১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ বাড়িতে বসবাস করেছেন। বাড়িটিতে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অনেক জিনিসপত্র রয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সূচনাকালে গাজায় তার উপস্থিতির কারণে বাড়িটি ফিলিস্তিনি ইতিহাসের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে আছে। বাড়িটিতে অন্যান্য শৈল্পিক কাজের পাশাপাশি ইয়াসির আরাফাতের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের নানা জিনিসের প্রদর্শনীও ছিল। সেগুলোতে তার সংগ্রামের নানা পর্যায়ের বিশদ বিবরণ ছিল।

ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী

আবু সাঈফ বলেন, গাজায় গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি সেনারা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি ধ্বংস তার নতুন প্রমাণ। এর আগেও ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক স্থাপনা, মসজিদ, গীর্জা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঐতিহ্যবাহী স্থান, জাদুঘর, গ্রন্থাগার, প্রকাশনা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ ফিলিস্তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত নানা স্থাপনার ওপর হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত গাজাসহ আশপাশের এলাকায় হামলা চালিয়ে ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এ সময় আহত হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি নিরীহ নাগরিক। তারপরও হামলাকারী ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।