৭২০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ

রিজার্ভ সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনৈতিক বেহাল দশার মধ্যেই কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে ৭২০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। আগের অর্থবছরের ওই সময়ের তুলনায় এটি অন্তত চারগুণ বেশি।

ঋণের অর্থ দ্রুত ব্যবহারে বড় সুফল পাবে অর্থনীতি

অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঋণপ্রতিশ্রুতি চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে মাত্র ১৭৬ কোটি ডলারের বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

সূত্র জানিয়েছে, ৭.২০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.৬২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এরপর ২.০২ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা দেশ জাপান। এছাড়া বিশ্বব্যাংক দিতে চেয়েছে ১.৪২ বিলিয়ন ডলার। বাকি ১.১৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে অন্যান্য ঋণদাতা গোষ্ঠীর কাছ থেকে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অবশ্য আশা করেছিলেন, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে এবং সেই অর্থ দ্রুত ব্যবহারে একটি বড় সুফল পাবে অর্থনীতি। তবে সেই আশা পূরণ না হলেও প্রতিশ্রুত অর্থ কোনো অংশেই মন্দ নয়।

অবশ্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত এই তহবিল ব্যবহারও উদ্বেগের বিষয়। কারণ, চলতি অর্থবছরে ১১.২৪ বিলিয়ন ডলার ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সাত মাসে মাত্র ৪.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করা গেছে।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আগামী ৫ মাসের মধ্যে ৬.৮৪ বিলিয়ন ডলার সরকারকে ব্যয় করতে হবে। তবে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বলতার কারণে ৫ মাসের মধ্যে এই বিপুল অর্থ ব্যয় কঠিন হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নথি অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যবহৃত বিদেশি তহবিলের পরিমাণ ৪৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত অব্যবহৃত বিদেশি তহবিলের পরিমাণ ছিল ৪৩.৭৬ বিলিয়ন ডলার।