অগ্নিচুল্লির মতো জ্বলছিল বেইলি রোডের ভবনটি!

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৪ জন মারা গেছেন। বহুতল ভবনটিতে অবস্থিত কাচ্চি ভাইসহ একাধিক রেস্টুরেন্টে থাকা অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিচুল্লির মতো জ্বলছিল ভবনটি।

জ্বলছে ভবন

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত নয়টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। প্রথমে আটটি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানোর পর আরও ৫টি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এরপর ভবনটি থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অনেককে জীবিত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন ঘটনাস্থলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ভবনটিতে কাচ্চি ভাইসহ একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। ফলে পুরো ভবন জুড়েই ছিল অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার। দ্বিতীয় তলা ছাড়া প্রত্যেক তলার সিড়িতে ছিল এসব সিলিন্ডার। অগ্নিকাণ্ডের সময় এসব সিলিন্ডারের কারণে তীব্রতা বেড়েছে। পুরো ভবনটি হয়ে উঠে অগ্নিচুল্লির মতো। ফলে দাউ দাউ করে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে একাধিক ফ্লোরে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতা

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তবে নিশ্চিতভাবে আগুন লাগার কোনো কারণ জানা যায়নি।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের ব্যাপারে রাত দুইটার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিম।