খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে অষ্টমবার

দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে এ নিয়ে অষ্টমবার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে তার। বর্তমানে রাজধানীর গুলশানের বাড়ি ফিরোজায় রয়েছেন খালেদা জিয়া।

সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে খালেদা জিয়ার

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ বুধবার (২০মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। তবে তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা স্থগিত করে সরকার। নির্বাহী আদেশে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত পালন সাপেক্ষে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস পরপর সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।

সাজা স্থগিত ও মুক্তির দুই শর্ত হচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যেতে পারবেন না এবং ঢাকায় থেকে চিকিৎসা করাবেন।

সর্বশেষ অষ্টমবারের মতো খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুতই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ এ পর্যন্ত সাতবার বাড়ানো হয়েছে। একই শর্তে আজকে ফের ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

খালেদা জিয়াকে গত বছর ৯ আগস্ট ভর্তি করা হয়েছিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। পাঁচ মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার এক আবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারা অনুযায়ী আবেদনটির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ওই আবেদনের ওপর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আর কোনো সুযোগ নেই, শুধু শাস্তি স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো যাবে।