এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের খাওয়াতে দুম্বা আনছে জলদস্যুরা

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের খাওয়ার জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনছে সোমালীয় জলদস্যুরা। তাই খাবার নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই নাবিকদের। তবে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে। এসব তথ্য জানিয়েছেন জিম্মি জাহাজে থাকা বাংলাদেশি নাবিকরা।

সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ

ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালীয় দস্যুরা। পরে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায় দস্যুরা। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা।

এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করার সময় নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল জাহাজটিতে। জিম্মিদশার কেটে গেছে ১৮ দিন। এতদিনে নাবিকরা কেমন আছেন, ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই।

জিম্মি জাহাজে থাকা নাবিকদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন, জানিয়ে নাবিক সংগঠনের এক নেতা বলেন, খাবার নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা নেই। নাবিকরা জানিয়েছে জলদস্যুরা জাহাজে খাওয়ার জন্য দুম্বা ও ছাগল আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জলদস্যুরা বিশুদ্ধ পানি আনতে পারছে না।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটি জাহাজে সাধারণত হিমায়িত ও শুকনো—দুই ধরনের খাবার সঞ্চিত থাকে। সাগরযাত্রায় কত দিন সময় লাগবে, সেটির ওপর নির্ভর করে জাহাজে খাবার নেওয়া হয়। জাহাজ জিম্মি করলে সাধারণত দস্যুরাই খাবার আনে। পানির ক্ষেত্রে রেশনিং করে চলতে হয়।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে ২০০ টন খাবার পানি ছিল। এই পানিতে এক মাস চলার কথা নাবিকদের। তারা জানিয়েছেন, রেশনিং করলে বেশ কয়েকদিন চালানো যাবে। পানি বাঁচাতে শুধু রান্না ও খাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা।

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের খাবার নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা না। জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে মিজানুল বলেন, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি এখনো। যত দ্রুত সম্ভব জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা।