গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি: ঈদের আগে আশার কথা শোনালো মিশর

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গাজা উপত্যকায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে জানিয়েছে এক মিশরীয় নিরাপত্তা সূত্র। ৭ এপ্রিল, রোববার নিউজ ওয়েবসাইট আল আরাবি আল জাদিদকে এই তথ্য জানিয়েছে সূত্রটি।

বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা

মিশরের রাজধানী কায়রোতে বর্তমানে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল এবং সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস উপস্থিত রয়েছেন। মিশরীয় সূত্রটি বলেছে, ‘এখন একটি চুক্তি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। শিগগিরই কায়রো থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।'  

সূত্রটি আরও বলেছে, ‘প্রধান চুক্তির আলোচনা কাঠামোর বাইরে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেশকিছু দিনের জন্য একটি অস্থায়ী মানবিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। এ ক্ষেত্রে সমস্ত পক্ষই নমনীয়তা দেখিয়েছে।' 

অবশ্য কায়রোতে একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলও উপস্থিত রয়েছে। মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মিশরীয় সূত্রটি জানিয়েছে, মিশরীয় কর্মকর্তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে হামাস নেতৃত্বকে অবহিত করেছেন। ১ এপ্রিল ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) ৭ জন বিদেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কার না করলে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন না করার হুমকি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহুকে। 

এদিকে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম, আল আরাবি আল জাদিদকে বলেছেন, ‘সব বিকল্পের জন্য প্রত্যাশা এখনও উন্মুক্ত রয়েছে। হামাস আশা করে যে ৬ মাস ধরে নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের ব্যর্থতা, সেইসাথে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপের কারণে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি হবে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজা উপত্যকা থেকে সমস্ত সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে।'  

ঈদ উপলক্ষে যদি এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন ঘটে তাহলে দ্বিতীয়বারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ৭ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। সে সময় বেশ কয়েকজন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।  

সূত্র: দ্য নিউ আরব