অন্তত ১ লাখ ইসরায়েলি বাস্তুচ্যুত, বাড়িঘরে ফিরতে পারছে না!

দক্ষিণ ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে অন্তত ১ লাখ ইসরায়েলি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ছয় মাস পরেও তারা নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে পারছে না। ৭ এপ্রিল, রোববার ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল-১২ এই তথ্য জানিয়েছে।

ছবি - সংগৃহীত

চ্যানেল-১২ এর খবরে বলা হয়েছে, হামলার পরবর্তী সময়কালের জন্য ইসরায়েলি সরকারের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিদের কখন তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে তা এখনও জানায়নি সরকার।   

ইসরায়েলের দ্য মার্কার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবরের হামলার পর বাস্তচ্যুত ২০ শতাংশ ইসরায়েলি পরিবার গাজা উপত্যকার কাছাকাছি এলাকায় তাদের বাড়িতে ফিরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এখন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেক দূরে নতুন বাড়ি খুঁজছে।   

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজা উপত্যকার নিকটবর্তী শহর ও বসতিগুলোর বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছিল। এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।  

এদিকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে লেবানন সীমান্তবর্তী ২৮টি শহর ও গ্রামের বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার আল জাজিরা জানিয়েছে, সংঘর্ষের ফলে ৫০০ টিরও বেশি বাড়ি, দোকান এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

সীমান্ত শহর কিরিয়াত শিমনের মেয়র আভিচাই স্টার্ন বলেছেন, হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান ফোর্স যতক্ষণ সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে, ততক্ষণ উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দারা ফিরতে পারবে না।    

ইসরায়েলি সংবাদপত্র মা'আরিভ জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়ি বিক্রি করে স্থায়ীভাবে মধ্য ইসরায়েলে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ৬ মাসে ধরে চলা এই যুদ্ধে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু ছিল। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব