পুতিন: কিয়েভের জবাবেই ইউক্রেনের জ্বালানি সাইটগুলোতে হামলা করতে হয়েছে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিয়েভ রাশিয়ায় যেসব হামলা চালিয়েছে, তার জবাবেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে ব্যাপক বিধ্বংসী হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে মস্কো। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মিত্র রাষ্ট্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলাপকালে পুতিন এ মন্তব্য করেন। খবর আরব নিউজ।

ভ্লাদিমির পুতিন

পুতিন বলেন, দুর্ভাগ্যবশতঃ আমরা সম্প্রতি আমাদের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে কিয়েভের পক্ষ থেকে সিরিজ হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছি। এমনিতেই জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালানো আমাদের পরিকল্পনারই একটি অংশ, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরস্ত্রীকরণ। আমরা বিশ্বাস করি, এসব হামলার দ্বারা মস্কো ইউক্রেনের সামরিক শিল্পকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারবে।

লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, রাশিয়া মানবিক বিবেচনায় শীতকালে এই ধরনের হামলা চালানো থেকে বিরত ছিল। আমরা হাসপাতালসহ এ ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালাতে চাই না। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে তেল শোধনাগারগুলোতে করা হামলা মস্কোকে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্ররোচিত করেছে।

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা

রাশিয়া গত কয়েকদিনে কিয়েভের কাছে একটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গ্যাসের মজুদাগার ধ্বংস করার পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলেও বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঞ্চালন লাইন ধ্বংস করেছে। যার বড় প্রভাব পড়েছে ইউক্রেনের সামগ্রিক নাগরিক জীবনে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে এবং গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনে চালানো এমন হামলা কিয়েভের ‘অসামরিকীকরণ’ প্রক্রিয়ারই অংশ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর সময় তিনি যে পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন, তার মধ্যেই এর উল্লেখ ছিল। তবে তিনি ইউক্রেনের বাইরে রাশিয়ার অভিযান বিস্তৃত করার পরিকল্পনা পুরোপুরি নাকচ করে দেন।