গাজায় নিহত ৩৪০০০ ছুঁইছুঁই, শিশুই ১৩৮০০

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর মিছিল চলছেই। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছুঁইছুঁই। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। খবর সিএনএনের।

গাজার ধ্বংসস্তুপই মাতৃহারা শিশুটির খেলার মাঠ

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ৩৩,৯৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আরও আহত হয়েছে ৭৬ হাজার ৯৭০ জন।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এছাড়াও আরও ১০ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছে। মূলত তারা গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধারও করা সম্ভব হয়নি। এ হিসেবে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেলের মতে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৩ হাজার ৮০০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া নারী নিহত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি।

জাতিসংঘ সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু আহত বা মারা যাচ্ছে। এছাড়া মাতৃহীন হয়েছে পড়েছে অন্তত ১৯ হাজার শিশু। সেক্ষেত্রে অন্তত ৬ হাজার নারী ছোট শিশু রেখেই প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে গাজার রাফাহ শহরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ভোরের হামলায় এক পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু। এসব শিশুদের বয়স ৩ থেকে ১৬ বছর।

স্থানীয় আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, এক বোমায় পুরো আইয়াদ পরিবার শেষ হয়ে গেছে। শিশুসহ পরিবারটির সদস্যরা ঘুমন্ত ছিল। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তারা বোমা হামলায় প্রাণ হারান।

পরিবারটি উত্তর গাজার গাজা সিটির আল-জায়তুন পাড়ার বাসিন্দা ছিল। তারা গত ছয় মাসে ইসরায়েলি হামলায় একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সর্বশেষ রাফায় আশ্রয় নিয়েও শেষরক্ষা হলো না।