ন্যাটোকে জেলেনস্কি: এখনই অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার

রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা ঠেকাতে এই মুহূর্তেই ইউক্রেনের অন্তত সাতটি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিলে ভিডিও লিঙ্কে যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে এ বার্তা দেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্স।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

বর্তমানে বিদেশি সহযোগিতার মাত্রা খুবই সীমিত হয়ে এসেছে উল্লেখ করে আবেগি ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, পুতিনকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে। সেটি করতে হলে আমাদের আকাশকে নিরাপদ করতে হবে। আর এ পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে আপনাদের সিদ্ধান্তের ওপর। আমরা মিত্র কিনা- সেই সিদ্ধান্তের ওপর।

ন্যাটোর মিত্র দেশগুলোর উদ্দেশে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা এ বিষয়টি সরাসরিই আপনাদের বলছি, এই মুহূর্তে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষার জন্য আরও সাতটি প্যাট্রিয়ট বা সমমানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। এটি আসলে সর্বনিম্ন সংখ্যা। এছাড়া এখনই ইউক্রেনীয় সেনাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা প্রয়োজন। এসব অস্ত্র ইউক্রেনের অনেক নাগরিকের জীবন রক্ষার পাশাপাশি পরিস্থিতিও পাল্টে দিতে পারে।

এদিকে ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, তারা কিয়েভকে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে সম্মত হয়েছে। জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।

সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সময় তেল আবিবের মিত্ররা সঙ্গে ছিল দাবি করে ন্যাটো মিত্রদের আরও বেশি করে ইউক্রেনের পাশে থাকার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, চলতি বছরের প্রথম ১০০ দিনেই রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় এক হাজার ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র, এক হাজার ৫০০ ড্রোন ও আট হাজার ৫০০ গাইডেড বোমা হামলা চালিয়েছে। তিনি দাবি করেন, পশ্চিমা সামরিক সহযোগিতা মন্থর হওয়ার পর রুশ হামলার সংখ্যা বেড়েছে।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়া এখন ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ও শহরগুলো লক্ষ্য করে হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে। এতে নানামুখী চাপের মুখে পড়ছে কিয়েভ। এছাড়া রুশ বাহিনী এখন ধীরে ধীরে পূর্বাঞ্চলীয় রণক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে বিদেশি সামরিক সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন জেলেনস্কি।