হানিয়ার সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিনি ঐক্যের ওপর জোর দিলেন এরদোয়ান

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২০ এপ্রিল, শনিবার ইস্তাম্বুলে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সে সময় তিনি ফিলিস্তিনি ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

বৈঠকের ছবি

শনিবার ইস্তাম্বুলের ডলমাবাহছে প্যালেসে তুরস্ক এবং হামাসের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাজা ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলা, গাজায় পর্যাপ্ত এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রদান, সেইসাথে এই অঞ্চলে একটি ন্যায্য ও টেকসই শান্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, 'ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা অত্যাবশ্যক। এর মাধ্যমে ইসরায়েলের প্রতি সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে।  ইসরায়েলের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে সত্য ঘটনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আরও বেশি করে জানানো দরকার।'  

তিনি আরও বলেছেন, 'এই প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা জরুরি। ঐক্য এবং অখণ্ডতার মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের বিজয় নিহিত।' 

তিনি উল্লেখ করেছেন, তুরস্ক ফিলিস্তিনিদের নিপীড়নের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আঙ্কারা গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানাচ্ছে। 

তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে হামাসের সংগ্রামের তুলনা করে এরদোয়ান বলেছেন, ‘এ কথা বলার মূল্য আমরা ভালো করেই জানি কিন্তু বিশ্বকে সত্যটা জানতে হবে।' 

তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘আমি ফিলিস্তিনিদের জন্য লড়াই করব এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর হব, এমনকি যদি আমাকে এটি একা করতে হয় তাও আমি পিছিয়ে যাব না।' 

উল্লেখ্য, এরদোয়ানের সরকার গাজা উপত্যকা শাসনকারী হামাসের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। কিছু ইউরোপীয় দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত তুরস্ক হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে মনে করে না।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ