শসা চাষীদের পাশে ‘স্বপ্ন’, বাজারে ৪০ টাকা, স্বপ্নে ১২ টাকা!

রমজানের মধ্যে চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসার দাম নিয়ে চাষীরা বেশ বিপাকে পড়েছেন। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষীরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়।

ছবি - সংগৃহীত

এমন সময় সেই শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’। খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন।

দিনাজপুরের খানসামা (২ টন) ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা (৬ টন) থেকে মোট ৮ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন। বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন।

কৃষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা পতিকায় প্রকাশিত নিউজ মারফত শসা চাষীদের দুর্ভোগের কথা জানতে পারি। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেছি। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’

স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষীদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে আমরা ৮ টন শসা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।’

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলেন। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু রমজানের ১০ তারিখের পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রথমে প্রতি কেজি ১০ টাকা, পরে ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। এতে করে প্রচুর লোকসান হয় কৃষক সাকিব হোসেনের।

‘আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ’, বলেন কৃষক সাকিব হোসেন।