গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজার মরদেহ!

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে স্থল ও বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় এখন আর কোনো অক্ষত ভবন নেই! পুরো গাজায় হাজার হাজার স্থাপনা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে পচছে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ। খবর আনাদোলু ও আল জাজিরা।

এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজার মরদেহ রয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহগুলো চাপা পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় এসব মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এসব মরদেহে পচন ধরেছে। গরমের তীব্রতা বাড়ায় এসব মরদেহ থেকে রোগবালাই ছড়াচ্ছে!

এদিকে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামলার শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এদের অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সাড়ে ৩৪ হাজার মৃত্যুর যে হিসেব দিয়েছে, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এসব লোক সে হিসেবের বাইরে। তাদেরকে মৃত ধরে হিসেব করলে এখন গাজার নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে উত্তর গাজার একটি উদ্ধারকারী দল বলছে, তারা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে পুরোপুরি পচে যাওয়া মরদেহগুলো উদ্ধার করতে শুরু করেছে।

হামাসকে হত্যা ও নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ইসরায়েল গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য হামাসকে এ যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। তবে হামাস বলছে, পূর্ণ পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে যেতে নারাজ।