নেতানিয়াহু: যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও রাফায় ইসরায়েলি অভিযান চলবে

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হোক বা না হোক, দক্ষিণ গাজার রাফায় অভিযান চালাবে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স।

নেতানিয়াহু

গাজায় নিহত সেনাদের পরিবার এবং জিম্মিদের স্বজনদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, চুক্তি হোক বা না হোক, সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য আমরা রাফায় অভিযান চালাব এবং হামাসকে নির্মূল করব। সব লক্ষ্য অর্জনের আগেই আমরা যুদ্ধ বন্ধ করব-এ ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছি। রাফা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শিগগির আমরা সেখানে আক্রমণ শুরু করব। হামাসের কাছে আমরা কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করব না। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের উদ্দেশ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। হামাসকে শেষ করেই আমরা গাজা ছাড়ব।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, তেল আবিবের প্রধান লক্ষ্য হামাসকে নির্মূল করে তাদের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং জিম্মিদের মুক্তি। জিম্মি পরিবারের সদস্যরা এক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছেন এবং তার সঙ্গে বৈঠকের পর ইসরায়েল অভিযান অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন।

গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। বেশ কিছু জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তব দিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে ‘উদার’ বলে বর্ণনা করে হামাসকে তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সৌদি আরবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে ব্লিঙ্কেন বলেন, তিনি আশাবাদী, এ ব্যাপারে হামাস সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তারা মেনে নেবে না।

জানা গেছে, প্রায় সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলার পরও হামাসের হাতে এখনও ১৩০ জনের বেশি ইসরায়েলি বন্দী জিম্মি হিসেবে রয়ে গেছে। সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তাদের মধ্যে ৪০ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।