নেতানিয়াহুর কারণেই আটকে আছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি!

যুদ্ধের সাত মাসের মাথায় এসে যুদ্ধবিরতির কথা বলছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করছেন, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানছে না। তবে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলছে, নেতানিয়াহু ব্যক্তিগত স্বার্থে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দিচ্ছেন। রাফায় হামলা চালাবেন, তার এই অনড় অবস্থার কারণেই নতুন এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খবর লা মন্ডে, আল জাজিরা ও আল আরাবিয়া।

নেতানিয়াহু

শনিবার (৪ মে) মিশরের কায়রোতে কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ হয়। বোরবার আবারও এ আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক সিনিয়র নেতা বলেন, এ আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি পক্ষ যেভাবে রাফায় হামলা করার ব্যাপারে অনড় থাকছে, তাতে এই যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

হামাস নেতা বলেন, গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ করার কথা সুস্পষ্টভাবে লেখা না থাকলে কোনো অবস্থাতেই তারা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি করবেন না।

সাত মাস ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

গত শুক্রবার হামাসের আরেক নেতা হোসাম বাদরানও সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ভণ্ডুলের জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি যাতে না হয়, সেজন্যই নেতানিয়াহু বারবার রাফায় হামলার কথা বলছেন।

সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা করতে হামাসের নেতৃবৃন্দ শনিবার কাতার পৌঁছেছে। তারা বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল এখনও কাতারে পৌঁছায়নি। তারা বলছে, চুক্তির সম্ভাবনা জোরালো হলেই কেবল তারা কাতারে যাবেন।

হামাসের সিনিয়র মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা এখনও প্রধান বিষয় নিয়েই কথা বলছি। আর সেটি হচ্ছে গাজায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার। আমরা এ ব্যাপারে ইতিবাচক জবাব পাওয়ার আশা করছি।