বিজয়- বিরাটের সেঞ্চুরি, প্রথম দিনে হতাশা

ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা দুই রকম অনভূতি দিলো বাংলাদেশকে। প্রথম দিকে দারুণ উত্তেজনা। পরে নিদারুণ যাতনা। উত্তেজনাটা তৈরি করে দিয়েছেন তাসকিন। আর যাতনায় ডোবালেন মুরালি বিজয় ও বিরাট কোহলি।

হায়দরাবাদের ব্যাটিং উইকেটে সারা দিনে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে অজিঙ্কা রাহানে ও বিরাট কোহলি যখন মাঠ ছাড়লেন, ভারতের স্কোরবোর্ডে তখন জমে গেছে ৩৫৬ রানের জমাট পুঁজি। অন্য দিকে সবেধন— তিন উইকেট নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিমরা।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামার ঠিক আগে মুশফিক বলেছিলেন যে, টস জিতলে তিনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতেন। যেটা নিয়েছেন কোহলি। কিন্তু প্রথম ওভারে লোকেশ রাহুলকে বিদায় করে তাসকিন আহমেদ যেনো অন্যভাবে ভাবার সুযোগ দিয়েছিলেন মুশফিককে।

মুশফিক হয়তো ভেবেছিলেন, যাক, বোলিং পেয়েও মন্দ হলো না! কিন্তু কিসের কী! একের পর এক দৃষ্টিকটু ফিল্ডিং বাংলাদেশকে ছিটকে দিলো মুহূর্তের উত্তেজনার দারুণ সময় থেকে। শুরু হলো একটা উইকেট পেতে ক্রিজে মাথা ঠুকে মরা।

শেষ পর্যন্ত তিনটি উইকেট পড়লো বটে, কিন্তু রানও উঠে গেলো অনেক। ম্যাচের সময় যতো গড়িয়েছে, ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ততোই ক্রিজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাদের দাপট। প্রথম ৪৫ ওভারে ৩.৩ গড়ে ভারত তুলে ১৫২ রান। পরের ৪৫ ওভারে রান উঠে যায় ওভার প্রতি সাড়ে চারেরও বেশি করে।

দিন শেষে মুশফিকরা তাই হতাশা ছাড়া তেমন কিছু পাচ্ছেন না। যদিও দিনের শুরুর উত্তেজনার মুহূর্তগুলোকে টেনে লম্বা করার দারুণ সুযোগ এসেছিলো বাংলাদেশের সামনে। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে নিশ্চিত রান আউটের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছিলেন মুরালি বিজয়। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজের শিশুতোষ ভুলে বেঁচে যান তিনি। পরে বিজয় ফেরেন সেঞ্চুরি করে।

স্লিপেও ফসকে গেছে অন্তত দুটি নিশ্চিত ক্যাচ। সুযোগগুলো সহজ ছিলো না বটে। কিন্তু কঠিন সুযোগগুলোকে সহজ করার জন্যই তো এতো অনুশীলন- কসরত। সহজ সুযোগে ক্যাচ যে কেউই ধরতে পারে! তারপরও কথা ছিলো, যদি ও রকম ভুল একটা দুটো হতো।

মুশফিকের বাজে কিছু সিদ্ধান্তও বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। দলের বোলিং বৈচিত্র ঈর্ষণীয় হলেও, মুশফিক বোলারদের বৈচিত্রপূর্ণভাবে ভারতীয় বোলারদের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাইজুলের একটা বলে অদ্ভুত এক রিভিউ করে জুগিয়েছেন হাসির খোরাক। সব মিলিয়ে হায়দরাবাদ টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের মনে রাখার মতো তেমন কিছুই নেই।