ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে নিরাপত্তা পরিষদকে সাধারণ পরিষদের আহ্বান

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে সাধারণ পরিষদে। আজ শুক্রবার এ সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়েছে। এরপরই ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ পরিষদ। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সদস্যদেশ ১৯৩টি। ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯ সদস্য। ভোটদানে বিরত ছিল ২৫ সদস্য দেশ।

ভোটাভুটির পর এক প্রতিক্রিয়ায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উপস্থিত আল-জাজিরার সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো বলেন, প্রস্তাবের পক্ষে বিপুল ভোট পড়ার ঘটনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফিলিস্তিনের পক্ষে ১৪৩ ভোট পড়াটা ছিল ধারণার বাইরে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিপুল সংখ্যক সদস্য ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিলেও ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার এখতিয়ার কেবল নিরাপত্তা পরিষদের। তবে সাধারণ পরিষদের এই প্রস্তাব পাস পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি হিসেবে কাজে দেবে।

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া ইস্যুতে একটি প্রস্তাব গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হয়েছিল। তবে তাতে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে খারিজ করে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া, স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে। তবে সেটি শুধুমাত্র ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে, জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে নয়।

ভোটের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার মানে হচ্ছে বিশ্বসম্প্রদায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিপক্ষে রয়েছে পুরো বিশ্ব।

এই ভোটাভুটি এমন এক সময়ে হলো যখন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে নির্বিচার হত্যা ও ধ্বংস চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৭৮ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।