রাঙামাটিতে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটির লংগদুতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাট্টলীর ধনপুতি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা তিলক (৪৯) এবং স্থানীয় বাসিন্দা ধন্যমণি চাকমা (৩২)। এ ঘটনায় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (পিজেএসএস) দায়ীকে করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

রাঙামাটির লংগদু থানা

নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা লংগদুর কাট্টলী কুকিছড়ার সময় মনি চাকমার ছেলে। ধন্যমনি চাকমা লংগদুর বড় হাড়িকাবার ধুধুকছড়ার লেংগ্যা চাকমার ছেলে।

ইউপিডিএফ সূত্র জানিয়েছে, ইউপিডিএফ কর্মীরা বড় হাড়িকাবার ভালেদি ঘাট এলাকায় সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকার সময় পোয়া চাকমা ওরফে আপন চাকমার নেতৃত্বে পিজেএসএসের ৭-৮জন অস্ত্রধারী হামলা চালায়। এতে গুলিতে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা নিহত হন।

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনী দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা শুরু করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।

ইউপিডিএফের সংগঠক সচল চাকমা জানান, লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্তু লারমা দলের কর্মীরা। অবিলম্বে হত্যাকারী খুনি-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সন্ত্রাসীদের মদতদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তবে এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিজেএসএস ) নেতা সন্তু লারমা বা তাদের পক্ষে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, লংগদু থানায় গোলাগুলির ঘটনা শোনা মাত্রই পুলিশ টিম ঘটনা¯’লে পৌঁছায়। ঘটনা¯’ল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

লংগদু থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, গুলিতে এক ইউপিডিএফ কর্মী এবং স্থানীয় এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। একজনের মাথায় আরেক জনের পিঠে গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।