সংসদে হাতি-মশা প্রসঙ্গ!

ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এসে প্রায় প্রতিদিনই বন্য হাতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় উৎপাত চালায় বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন।

এই সংসদ সদস্য বলেন, তার এলাকায় প্রতি সন্ধ্যায় সীমান্ত পেরিয়ে অন্তত ৭০ থেকে ৮০টি বন্য হাতি নেমে আসে। হাতি আসার জন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গেট খুলে দেয়।

বন্য হাতির আক্রমণে ওই সমস্ত এলাকার ফসলের ক্ষতি ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে বলে জানান রুহুল আমিন। তিনি বলেন, আমি নিজে ওই বন্য হাতির আক্রমণ দেখেছি। এই হাতির উৎপাতে এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এ সময় তিনি ভারতীয় বন্য হাতির আক্রমনে সীমান্তবর্তী এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তার বক্তব্যের পরপরই জাসদের সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল এসিআই কোম্পানির ওষুধে মশা মরে না বলে অভিযোগ করেন।

তিনি সংসদ সদস্য রুহুল আমিনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে বলেন, একজন সংসদ সদস্য সব থেকে বড় প্রাণীর কথা বলেছেন। যার কোনও নাগরিকত্ব নেই। আসা যাওয়ায় তাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে এসে আমাদের এখানে সমস্যা সৃষ্টি করছেন। তবে আমি বলবো সব থেকে ক্ষুদ্র প্রাণী মশাকে নিয়ে।

মশার কামড়ে সারারাত ঘুমাতে পারেননি উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, এসিআই নামে একটি কোম্পানি রয়েছে। মশার ওষুধটা তাদেরই। আমি দেখলাম, যতবার ওষুধটা দেই মশা কিছু সময়ের জন্য নির্জীব হয়ে যায়, কিছুক্ষণ পর আবারও কামড়াতে থাকে। এসিআই খুব নাম করা কোম্পানি। তাদের ওষুধের মধ্যে যদি মশা মারার ক্ষমতাই না থাকে, তাহলেতো এই ওষুধ তাদের বাজার থেকে প্রত্যাহার করা উচিত।