তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন ও ভারতের প্রস্তাব নিয়ে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জনগণের জন্য যে প্রস্তাবটি সবচেয়ে লাভজনক হবে, শুধুমাত্র সেটিই গ্রহণ করা হবে। গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তিস্তা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। চীন ও ভারত এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে যা আমাদের দেশের জনগণের জন্য বেশি লাভজনক।’

prime minister sheikh hasina 33প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

২১-২২ জুন ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাইমুল ইসলাম খান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে অনেক প্রস্তাব রয়েছে। তবে, প্রকল্পটি আমাদের দেশের জন্য কতটা প্রযোজ্য, বাস্তবায়নের পর এর রিটার্ন জনগণের কল্যাণে কতটা সহায়ক হবে এবং ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা কতটুকু, তা বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি জানান, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন ইতিমধ্যে ভৌত জরিপ সম্পন্ন করেছে, ভারতও আরেকটি জরিপ করতে চায়। ‘আমরা সেই জরিপই গ্রহণ করব যা আমাদের জন্য বেশি উপযোগী এবং লাভজনক হবে,’ তিনি যোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ভারত প্রযুক্তিগত টিম পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ তাদের প্রযুক্তিগত টিমের সঙ্গে আলোচনা করবে।

তবে তিনি বলেন, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। তাই ভারত যদি তিস্তা প্রকল্পটি করে তাহলে বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে। সেক্ষেত্রে, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আমাদের সবসময় কথা বলতে হবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ৫৪টি সাধারণ নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হবে। সেই সময়ের মধ্যে চুক্তি নবায়ন না হলে (চুক্তির ধারা অনুযায়ী) তা অব্যাহত থাকবে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তি সত্ত্বেও, তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্নের জবাবে, শেখ হাসিনা বলেন, এটি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চান না।

তবে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা ব্যানার্জীসহ ভারতের সকল রাজনৈতিক দলের সাথেই তার সুসম্পর্ক রয়েছে।

ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারসাম্য রক্ষার কিছু নেই কারণ তার সরকার ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতি অনুসরণ করছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রক্ত ​​ঝরিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে ভারত, বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, চীন কীভাবে উন্নত হয়েছে তা থেকে শেখার অনেক কিছু রয়েছে। আমরা সব দিক বিবেচনা করে সম্পর্ক বজায় রাখি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে, তাতে তিনি কখনও হস্তক্ষেপ করেন না। আমি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা নিয়ে কোনো সমস্যা তিনি দেখছেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ভারত সরকারের আমন্ত্রণে প্রথমে নয়াদিল্লি যান এবং পরে রাষ্ট্রীয় সফরে যান।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.