ফিলিস্তিনপন্থী প্রার্থীদের কাছে ৪টি আসন হারাল লেবার পার্টি

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ৪ টি আসন হারিয়েছে। ৫ জুলাই, শুক্রবারের ঘোষিত ফলাফলে আরও বেশ কয়েকটি আসনে ফিলিস্তিনপন্থী প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টি বিপুল বিজয় পেলেও গাজা যুদ্ধ কিয়ার স্টারমারের পার্টির উপরও প্রভাব ফেলেছে।

ছবি - সংগৃহীত

সবচেয়ে হাই প্রোফাইল পরাজয়ের মধ্যে একটি হলো ছায়া ক্যাবিনেট অফিস মন্ত্রী জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ।তিনি তার লিসেস্টার সাউথ আসনটি স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত অ্যাডামের কাছে মাত্র ১ হাজার ভোটে হেরেছেন। বিজয়ী হওয়ার পর ফিলিস্তিনপন্থী অ্যাডাম বলেছিলেন, ‘এই জয় গাজার জন্য।' 

ব্ল্যাকবার্নে, লেবার পার্টির কেট হলার্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী আদনান হোসেনের কাছে ১৩২ ভোটে হেরেছেন। একইভাবে ডিউসবেরি এবং বেটলিতে ছায়া চ্যান্সেলর র‍্যাচেল রিভসের সাবেক উপদেষ্টা হিদার ইকবাল প্রায় ৭ হাজার ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল মোহাম্মদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।

অন্যান্য বেশ কয়েকটি আসনে হাই প্রোফাইল লেবার এমপিরা কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়েছেন। ইলফোর্ড আসনে ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিয়ান মোহাম্মদের চেয়ে মাত্র ৫২৮ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এর ফলে তিনি তার আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

এছাড়া বার্মিংহাম পেরি বারে সাবেক লেবার এমপি খালিদ মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব খানের কাছে হেরে যান। 

এবারের সাধারণ নির্বাচনে লেবার সারা দেশে ফিলিস্তিনিপন্থী প্রার্থীদের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের প্রত্যাশা করেছিল। গাজা যুদ্ধ নিয়ে একটি মন্তব্যের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন লেবার নেতা স্টারমার। তিনি বলেছিলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের। এরপর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করেনি লেবার পার্টি। ফলে দলটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অবশ্য পরবর্তীতে লেবার পার্টি একই ধরনের একটি প্রস্তাব পাস করেছিল। 

উল্লেখ্য, ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচিন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টি ৪১২ টি আসনে জয় পেয়েছে অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১ টি আসন। 

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান