বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৫ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন; তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৭ জুলাই, রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের স্টেশন সড়কের সেউজগাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।

বগুড়ায় রথযাত্রা দুর্ঘটনার শিকার হয়

নিহতরা হলেন- অলোক সরকার (৪০), আতশি রানী (৪০), নরেশ মোহন্ত (৬৫), রঞ্জিতা মহন্ত (৬০) ও সবিতা।

স্থানীয় বাসিন্দা চিত্ত পাল বলেন, সেউজগাড়ী পালপাড়া ইসকন মন্দির থেকে প্রতিবছরই রথযাত্রা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও রথযাত্রা শুরু হয়েছিল। বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এ রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এটি বনানীর শিব মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল।

হাসপাতালের সামনে স্বজনদের অপেক্ষা

চিত্ত পাল বলেন, রথের চারপাশে অনেক লোক ছিল। অনেকে এতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। কেউ কেউ আবার ঝুলে ঝুলেও রথযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মন্দির থেকে বেরিয়ে সেউজগাড়ী আমতলায় পৌঁছালে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া ৩৩ হাজার ভোল্টেজ বিদ্যুতের তারের সঙ্গে রথের গম্বুজের ধাক্কা লাগে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান ৫ জন।

রথযাত্রায় অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, রথটি যাওয়ার পথে এর চূড়াটি বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে ওঠে এবং চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই অনেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন অনেকে ছুটে এসে পড়ে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আর কয়েকজন এসে রথটি শিব মন্দিরের দিকে নিয়ে যায়।

বগুড়ার সিভিল সার্জন মো. শফিউল আযম জানান, পাঁচজন মারা গেছেন। এখনও ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ জন এবং সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঁচজন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।